নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম nidw.gov.bd

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম । ভোটার আইডি কার্ড যাকে অনেকেই সংক্ষেপে এনআইডি কার্ড (NID card) / জাতীয় পরিচয় পত্র বলে থাকেন। ভোটার আইডি কার্ড আমাদের নিত্য দিনের একটি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট। এটি প্রতিটি বাংলাদেশের নাগরিকের পরিচয় বহন করে। কোন একজন মানুষ তিনি বাংলাদেশি কি না ? বাংলাদেশের সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন কি না? তা নির্ভর করে এই ভোটার আইডি দেখে তিনি বাংলাদেশের অধিকার পাবেন কিনা। তাছাড়া প্রতিদিনের কর্মকান্ডের সাথে এই ডকুমেন্ট জড়িত। ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজই করতে পারবেন না। যে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি অথবা সেবা গ্রহন করতে চাইলে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে। তাই বলতে পারি যে ভোটার আইডি কার্ড আমাদের প্রতিদিনের কাজের সাথে জড়িত।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

বাংলাদেশের এখনো অনেক মানুষ আছেন যাদের ভোটার আইডি কার্ড হয়নি। তারা জানতে চান কিভাবে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করা যায়। আমাদের প্রত্যেকেরই ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে জানা উচিত । কারণ এই নিয়মটি জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই আমাদের নতুন ভোটার আইডি কার্ড ঠিক করে নিতে পারব। তাই আমরা আজকের এই পোস্টটি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিভাবে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করবেন সেই নিয়মটি জানতে পোস্টটি ভাল করে পড়ুন। আশা করি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম পড়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড আপনি নিজেই করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। তাছাড়া আপনি আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন করতে পারবেন না। এই ডকুমেন্টগুলো নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার পূর্বে আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। সমস্ত কাগজপত্র সংগ্রহের পর আপনি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন করতে পারবেন । নতুন ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • জন্ম সনদের ফটোকপি
  • পিতা এবং মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • চেয়ারম্যান/ মেয়র কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি (শিক্ষিত হলে)
  • রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট এর ফটোকপি।
  • বিদ্যুৎ বিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • জমির কাগজ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড

তিন বছর পর পর আদমশুমারি মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার নিবন্ধন করা হতো । কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় অনেকে তাৎক্ষণিক ভোটার তালিকায় নাম লিখাতে পারতেন না । কারন অনেকেই বাড়িতে উপস্থিত থাকেন না এবং অনেকেই তাদের কাগজপত্র সংগ্রহ না থাকার কারণে ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে পারে না।

এখন আপনি চাইলে যেকোন সময় আপনার ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার বয়স সম্পন্ন হলে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনার ভোটার নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদনটি সম্পন্ন করতে পারেন । আবেদন করার কিছু দিনের মধ্যে আপনার ভোটার আইডি কার্ডপি পেয়ে যাবেন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন আবেদন পদ্ধতি

ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন আবেদন পদ্ধতি একটি সহজ পদ্ধতি। খুব সহজেই একজন ব্যক্তি তার সমস্ত তথ্য প্রদান করে আবেদনটি সম্পন্ন করে নিতে পারেন। অনলাইনে আবেদন পূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়ার পরে 10 থেকে 15 দিনের মধ্যে আপনাকে আঙ্গুলের ছাপ এবং ছবি তোলার জন্য এসএমএস পাঠানো হবে। উক্ত দিনে আবেদনকারী ব্যক্তিকে অফিসে এসে ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ প্রদান করলে আপনার ভোটার নিবন্ধন এর কাজ শেষ হবে এবং পরবর্তী এক সপ্তাহ থেকে 10 দিনের মধ্যে আপনার ভোটার আইডি নম্বরটি আপনি পেয়ে যাবেন।

অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন প্রক্রিয়া

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

  • প্রথমে আপনাকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট NID Application System এ প্রবেশ করুন
  •  উপরের মত একটি পেজ আসবে এখানে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন
  • আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করুন
  • সকল তথ্য প্রদানের পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আপনার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন

রেজিস্ট্রেশন কার্য সম্পন্ন হলে অ্যাপ্লিকেশন এ ক্লিক করুন এবং আপনার আবেদন সম্পন্ন করুন। আবেদন ফরম পূরণের পরে দুই কপি প্রিন্ট করে নিন। উপরে বর্ণিত কাগজপত্র সংযুক্ত পূর্বক নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা প্রদান করুন। নির্বাচন অফিসে আপনার আবেদন জমা না হলে আপনার আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।

জামা ভোটার আইডি কার্ড প্রাপ্তি

আবেদনপত্রটির নির্বাচন কমিশনার অফিসে জমা হলে আপনার আবেদনটি সম্পন্ন হবে। আবেদন জমা প্রদানের এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনার প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি তোলার জন্য এসএমএস পাঠানো হবে। উক্ত দিনে প্রার্থীকে ছবি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদানের জন্য অবশ্যই নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হতে হবে। ভোটার আইডি কার্ডের জন্য ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করা হলে আপনার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন। এবার কিছুদিন পরেই আপনার ভোটার আইডি নম্বরটি নির্বাচন অফিস থেকে জেনে নিতে পারবেন। ভোটার আইডি নম্বরটি জেনে আপনি যেকোন মোবাইল অথবা কম্পিউটার এর দোকান থেকে অনলাইনে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি দিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় জীবনের যেকোনো কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।

উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করে খুব সহজে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ঠিক করে নিতে পারবেন। এতে আপনার সময় ও শ্রম কম লাগবে। তিন থেকে চার মাস এর মধ্যে আপনার ভোটার আইডি কার্ড টি নির্বাচন অফিসে চলে আসবে। আপনি তিন থেকে চার মাস পর নির্বাচন অফিসে খোঁজ নিবেন আপনার আইডি কার্ড এসেছে কিনা। যদি এসে থাকে তাহলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করে নিবেন।

ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম  সম্পর্কে কোন তথ্য জানার থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমরা আপনাকে সঠিক উত্তর প্রদান করতে সদা প্রস্তুত। আশা করি আজকের এই পোষ্ট টি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এবং খুব সহজেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ ও আবেদন করতে পারবেন।